নিরীহ যুবককে মারধোরের ঘটনায় উত্তেজনা

25th July 2021 8:20 pm বাঁকুড়া
নিরীহ যুবককে মারধোরের ঘটনায় উত্তেজনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বাইকের হ্যাণ্ডেল লেগে যাওয়ার অজুহাতে নিরীহ এক যুবককে ব্যাপক মারধোরের অভিযোগ উঠলো তিন দূস্কৃতির বিরুদ্ধে। ঐ ঘটনায় গুরুতর আহত উৎপল মহাপাত্র এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। পুলিশ তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শরের ঘটনা।

ঘটনার সূত্রপাত উল্টোরথের দিন রাত ৮ টা নাগাদ। বিষ্ণুপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাদাকুলি মহাপাত্র পাড়ার বাসিন্দা উৎপল মহাপাত্র এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রথ দেখতে বেরিয়েছিলেন। বিষ্ণুপুর বড়কালীতলা মন্দিরের সামনে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাইকের হ্যাণ্ডেলের ঠোকাঠুকি হয়। শুরু হয় বচসা। পরে চড় থাপ্পড় দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও ঐ দিন রাত দশটা নাগাদ ঠিক ঐ জায়গাতেই ফের ঐ ব্যক্তি উৎপলদের পথ আটকায়। রড, লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধোর করে উৎপলকে। সংজ্ঞাহীন উৎপলের মৃত্যু নিশ্চিত করতে কালী মন্দিরের পিছনের দেওয়ালে তার মুখ থেৎলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যারিটি হাসপাতাল, পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ২১ জুলাই কলকাতার পিজিতে স্থানান্তরিত করা হলেও ভর্তির সুযোগ না হওয়ায় বাড়িতেই ফিরিয়ে আনা হয়। এখন বাড়িতে রেখেই নামমাত্র চিকিৎসা চলছে।

নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বেলিয়াতোড় থেকে ২৩ জুলাই তাপস দাস ও ২৪ জুলাই বিষ্ণুপুর থেকেই খোকা দাস ও শুভ্রজিৎ কর্মকারকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।